সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো ক্ষমা প্রার্থনা বা অনুশোচনা জনগণের কাছে করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানের দায়িত্বে থাকা দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের সামনে দাঁড়াবে, বিদেশি বা কোনো এনজিও-সমর্থিত গোষ্ঠীর কাছে নয়।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি লেখেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে বারবার জনগণের কাছে ফিরে যাবে।’
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ৫ আগস্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো ক্ষমা চাওয়া বা অনুশোচনার বিষয় থাকলে তা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি বিবেচিত হবে।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত প্রশ্ন তুলেছেন, গত এক বছরে যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তারা কি অনুশোচনা করেছে? তিনি আরও উল্লেখ করেন, সেই সময় কেন্দ্র করে হত্যার বিচারের জন্য স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছিল। আর যারা ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে, তারা আসলে এক গোষ্ঠীর হত্যাকারীকে দোষমুক্তি দিয়েছে। যারা মব সন্ত্রাস চালিয়েছে এবং ঘরে ঘরে ঢুকে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের জবাব কে দেবে?
কিছুদিন পর দেশের মানুষ তাদের উত্তর জানবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আরাফাত অভিযোগ করেন, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে যুক্ত করে, সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর অর্থায়নে পরিকল্পিতভাবে মানুষের মন বিষিয়ে তোলা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ বুঝতে পেরেছে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে।
আরাফাত বলেন, আওয়ামী লীগ চাইলে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে পারত, কিন্তু তা করেনি। কারণ, আওয়ামী লীগ চায়নি আরও মানুষ প্রাণ হারাক, তাই তারা ক্ষমতা ছাড়েছে। তিনি আবারো বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের দল।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের কাছে ফিরে আসবে এবং ক্ষমা চাওয়া ও অনুশোচনার বিষয়গুলো শুধুমাত্র জনগণের সঙ্গেই আলোচনা করা হবে, কোনো এনজিওনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে নয়।
Ask ChatGPT