অধিকৃত গাজা উপত্যকা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের দুই প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি পুরো গাজা দখলের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যা অনুমোদন দিয়েছে দখলদার সরকারের মন্ত্রিসভা। এই পদক্ষেপে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে এ ব্যাপারে বাধা দেওয়া হবে না। তবে যুক্তরাজ্য এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে ওয়াশিংটন আবারও কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। দেশটি স্পষ্ট জানিয়েছে, ফিলিস্তিনকে তারা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই সাধারণ মানুষ ও আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর চাপ দিচ্ছেন যাতে তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স জানান, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে। ব্রিটেন সম্প্রতি জানিয়েছে, শর্তসাপেক্ষে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।
ভান্সের বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার—ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। অপরদিকে ডেভিড ল্যামি জানান, ব্রিটেন চায় না গাজাবাসীর জন্য নতুন কোনো সংকট তৈরি হোক। ইসরায়েল গাজা দখল করলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত হতে হবে, যা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।
উল্লেখযোগ্য যে, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তবে তিনি কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন—ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় বর্বরতা বন্ধ করতে হবে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে, পশ্চিম তীর দখল না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
এর আগে ফ্রান্স ঘোষণা দিয়েছিল, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তারা ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে। ফ্রান্সের এ উদ্যোগে আরও অনেক ইউরোপীয় দেশ একই পথে হাঁটার প্রস্তুতি নিচ্ছে