গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তায় সক্রিয় তিন ছিনতাইকারী চক্র—‘ডেঞ্জার গ্রুপ’, ‘হানি ট্র্যাপ’ ও ‘টানা পার্টি’—এলাকাবাসীর জন্য আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। নারীদের সমন্বয়ে গঠিত এই চক্রে রয়েছে অর্ধশতাধিক সদস্য। বৃহস্পতিবার রাতে ‘ডেঞ্জার গ্রুপ’-এর হাতে নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন।
টানা পার্টি ভ্যানিটি ব্যাগ, মানিব্যাগ, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে দ্রুত সরে যায়। হানি ট্র্যাপ চক্র সুন্দরী নারী সদস্যদের দিয়ে টার্গেট ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করে সর্বস্ব লুটে নেয়। ডেঞ্জার গ্রুপ অস্ত্র ঠেকিয়ে খোলা সড়কে ছিনতাই করে।
চক্রটির অন্যতম নেতা কুখ্যাত কেটু মিজান, যার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। তার স্ত্রী গোলাপি বেগমও হানি ট্র্যাপের সক্রিয় সদস্য। গ্রুপটিতে স্বাধীন, ফয়সাল, আল আমিন, শাহজালালসহ একাধিক মামলার আসামি যুক্ত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনে-দুপুরে এসব অপরাধ ঘটে গেলেও অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন না। আটক হওয়ার পর অল্প সময়েই জামিনে মুক্ত হয়ে ফের অপরাধে জড়াচ্ছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মনে করেন, জামিন প্রক্রিয়া কঠোর হলে এসব অপরাধ কমবে।
গত বছর ছিনতাই প্রতিরোধে গিয়ে এক পোশাক শ্রমিক খুন হয়েছিলেন একই এলাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, একজন সাংবাদিক যেখানে প্রকাশ্যে খুন হন, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা বাড়ছে। পুলিশ দাবি করেছে, চান্দনা চৌরাস্তায় নিয়মিত অভিযান চলছে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।