গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। গত এক বছরে অন্তত ৪৯৬ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে দায়িত্ব পালনকালে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪ জন, আর চাকরি হারিয়েছেন দেড় শতাধিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সরকার যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
৬ আগস্ট বিকেলে গাজীপুর সদর থানার সামনে দুর্বৃত্তরা এক সাংবাদিককে নৃশংসভাবে মারধর করে। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি ভুক্তভোগীকে টেনে হিচড়ে নিয়ে গিয়ে বুকে লাফিয়ে এবং আঘাত করে মারাত্মকভাবে আহত করে। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে ২৬৬ জন সাংবাদিককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখার তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।