নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাইক্রোবাস খালে পড়ে লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের সাত সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। শনিবার (৯ জুলাই) বিকেলে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামে ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিনের বাড়িতে যান এবং পাশাপাশি কবস্থানে থাকা ছয় কবর জিয়ারত করেন।
সমবেদনা জানাতে গিয়ে এ্যানি বলেন, “এই দুর্ঘটনা শুধু লক্ষ্মীপুর নয়, গোটা দেশের মানুষকে নাড়া দিয়েছে। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। এরপরও গাড়ির মালিকপক্ষ নিহত পরিবারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে, যা অগ্রহণযোগ্য। মালিককে অবশ্যই পরিবারের কাছে এসে ক্ষমা চাইতে হবে ও সান্ত্বনা দিতে হবে, যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পরিবারটির সাতজন সদস্য হারানো এক অপূরণীয় ক্ষতি। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন তিনি তাদের জান্নাত দান করেন। চালক, মালিক ও যাত্রী—সবাইকে সড়কে সতর্ক থাকতে হবে।” এ্যানি সরকারকেও নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইউসুফ ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, চন্দ্রগঞ্জ থানা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল মুকিত সোহেল, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে প্রবাসী বাহারের বাবা আবদুর রহিম বেগমগঞ্জ থানায় গাড়িচালক এনায়েত হোসেন আকবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আকবর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা গ্রামের মৃত ফয়েজ আহমেদের ছেলে। গত বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে প্রবাসী বাহারকে নিয়ে তার স্বজনরা বাড়ি ফেরার পথে বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় মাইক্রোবাস খালে পড়ে চার নারী ও তিন শিশুসহ পরিবারের সাতজন নিহত হন।