ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ছয় মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় আগামী সোমবার (১১ আগস্ট) সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। ওই মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে শেখ হাসিনা ও ১২ জন, আরেকটিতে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনা সহ ১৭ জন এবং অপর মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনা সহ ১৮ জন আসামি।
রোববার (১০ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির এই ছয় মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ঢাকার দুইটি বিশেষ জজ আদালতে এসব মামলার বিচার চলছে।
তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে অনুষ্ঠিত হবে। সাক্ষ্যদানের জন্য পৃথক তিন মামলার বাদীকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন—দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান।
এর আগে গত ৩১ জুলাই বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অপর তিন মামলার অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম। ওই মামলাগুলোর সাক্ষ্যগ্রহণ ১৩ আগস্ট নির্ধারিত রয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে একজন আসামি শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনা সহ মোট ১৭ জন, অন্য মামলায় আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনা সহ ১৮ জন এবং তৃতীয় মামলায় রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনা সহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
দুদক গত জানুয়ারিতে প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে এই ছয়টি মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আরেক মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেন, যদিও তারা সেই প্লট পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না।