Sunday, August 10, 2025
spot_imgspot_img
Homeআন্তর্জাতিকপোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ

পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ


আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প, যা বছরে শত শত কোটি ডলারের বাজার সৃষ্টি করে। এই খাতে শীর্ষ তিন রপ্তানিকারক দেশ হলো চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম। ভারতও বড় আকারে পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি করে থাকে। তবে এই দেশগুলো এখন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হচ্ছে। শনিবার (৯ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ কর্মরত এবং দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিবেদনে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশের আয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে চীন— ২০২৩ সালে ২৬০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ও ২০২৪ সালে ৩০১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে তারা। দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ, যারা ২০২৩ সালে ৪৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪ সালে ৩৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম, ২০২৩ সালে ৪২ দশমিক ১ ও ২০২৪ সালে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় করেছে দেশটি।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা তুরস্ক ২০২৩ সালে ৩৮ দশমিক ৬ এবং ২০২৪ সালে ৩৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ভারতের অবস্থান পঞ্চম— ২০২৩ সালে ৩৭ দশমিক ৫ ও ২০২৪ সালে ৩৬ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে তারা। ষষ্ঠ স্থানে ইতালি (৩৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার) ও সপ্তম স্থানে জার্মানি (২০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার), যদিও এ দুই দেশের ২০২৪ সালের তথ্য পাওয়া যায়নি।

অষ্টম স্থানে যুক্তরাষ্ট্র, যারা ২০২৩ সালে ২১ দশমিক ৮ ও ২০২৪ সালে ২২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। নবম স্থানে পাকিস্তান— ২০২৩ সালে ১৮ দশমিক ৪ ও ২০২৪ সালে ১৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার আয়। দশম স্থানে স্পেন, যারা ২০২৩ সালে ১৪ দশমিক ৬ এবং ২০২৪ সালে ২১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।

শীর্ষে থাকার কারণগুলো

  • চীন: উন্নত প্রযুক্তি, বিশাল উৎপাদন ক্ষমতা ও কম খরচে উৎপাদনের কারণে চীন বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বস্ত্র রপ্তানি করে। প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।
  • বাংলাদেশ: টি-শার্ট, শার্ট ও ট্রাউজার উৎপাদনে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। বৃহৎ উৎপাদন সক্ষমতা ও সাশ্রয়ী শ্রম খরচে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ওয়ালমার্ট, জারা, এইচঅ্যান্ডএম-এর মতো ব্র্যান্ড তাদের প্রধান ক্রেতা।
  • ভিয়েতনাম: নিটওয়্যার, স্পোর্টসওয়্যার ও জ্যাকেটে দক্ষতা, দ্রুত সরবরাহ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব কারখানা— এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপে তারা জনপ্রিয়।
  • তুরস্ক: ডেনিম, তোয়ালে, হোম ফেব্রিক এবং সুতির পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে। ইউরোপের কাছাকাছি থাকায় দ্রুত সরবরাহের সুবিধা রয়েছে।
  • ভারত: পোশাক, সুতা, রেশম, পাট, উল ও সিনথেটিক ফেব্রিক রপ্তানিতে তারা সক্রিয়। প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাংলাদেশ ও জার্মানি।
  • ইতালি: বিলাসবহুল ফেব্রিক, ডিজাইনার পোশাক ও উলের পণ্যে বিখ্যাত। কারুশিল্প ও শৈল্পিকতার জন্য বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর কাছে জনপ্রিয়।
  • জার্মানি: নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা ও গাড়ি শিল্পের জন্য উচ্চ প্রযুক্তির বস্ত্র উৎপাদনে শীর্ষে।
  • যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানত প্রযুক্তিগত ফেব্রিক, ডেনিম ও শিল্প উপকরণ রপ্তানি করে, যা প্রতিরক্ষা, চিকিৎসা ও মোটরগাড়ি শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
  • পাকিস্তান: তুলা উৎপাদনে শক্তিশালী হওয়ায় পোশাক, তোয়ালে ও বিছানার চাদর রপ্তানিতে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে।
  • স্পেন: ফ্যাশনেবল পোশাক ও গৃহস্থালি বস্ত্রে এগিয়ে। জারা ও ম্যাঙ্গোর মতো ব্র্যান্ড দেশটির পরিচিতি বাড়িয়েছে।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments