লিবিয়া গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে প্রায় ১৬০ জন বাংলাদেশি অভিবাসী দেশে ফিরে আসছেন। তারা আগামী ২০ আগস্ট দেশে পৌঁছানোর জন্য রওনা হবেন। ত্রিপোলির বাংলাদেশ হাইকমিশন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ৭ আগস্ট লিβিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) লিβিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রধানের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন, সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত আইওএম’র স্বেচ্ছাসেবী মানবিক প্রত্যাবর্তন কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বর্তমানে ত্রিপলি, মিসরাতা ও বেনগাজিসহ লিβিয়ার বিভিন্ন শহরে বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশি অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে আসার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। রাষ্ট্রদূত তাদের দ্রুত আইওএম-এর কাছে নিবন্ধনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানান এবং প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ দূতাবাসের পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আইওএম’র কর্মকর্তারা জানান, লিβিয়া থেকে বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সংস্থাটি গুরুত্ব দিয়ে পরিচালনা করছে। দূতাবাসের সহায়তার জন্য তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। যদিও বর্তমানে প্রত্যাবাসন ফ্লাইটের সংখ্যা সীমিত, ভবিষ্যতে তা বাড়ানোর প্রত্যাশা রয়েছে।
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ২০ আগস্ট বেনগাজি থেকে একটি প্রত্যাবাসন ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে প্রায় ১৬০ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ লিβিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার জন্য আগ্রহী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে সম্মত হন এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেন।