বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, শিবিরকে ঘিরে নানা প্রোপাগান্ডা ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, আমাদের ওপর ভিত্তিহীন নানা ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। কিন্তু এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে সময় নষ্ট না করে আমরা দেশের কল্যাণ ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নেই মনোযোগী থাকব।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, অতীতে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দায়িত্বে থাকা কিছু ব্যক্তির আচরণ ছিল অনৈতিক ও নির্মম। একজন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নাগরিক হত্যার নির্দেশ দেওয়া লজ্জাজনক। আমরা চাই এ ধরনের রাজনীতির অবসান হোক। যারা সৎ, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক, তাদের সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের অধিকাংশ সময় প্রতিপক্ষকে আক্রমণে ব্যয় করে। অথচ জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল বৈষম্য ও বিভক্তির রাজনীতিকে চিরতরে সমাধিস্থ করার জন্য। শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা প্রাণ দিয়েছেন একটি বৈষম্যহীন ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাখা সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি এবং সঞ্চালনা করেন শাখা সেক্রেটারি মাইমুনুল হক মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক আলাউদ্দীন আবির, জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী ও সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা নৈতিকতা, দক্ষ নেতৃত্ব, মেধা ও স্রষ্টার প্রতি আস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শাখার বায়তুলমাল সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক বাহাউদ্দীন, অফিস সম্পাদক শাহেদুল মুরসালিন, প্রচার সম্পাদক জাহিদুল আলম জয়সহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।