আদিবাসী সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপে আয়োজিত ‘আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ভূমি, বন ও মানবাধিকার সুরক্ষার চ্যালেঞ্জ : সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি তোলা হয়।
এএলআরডি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামসহ ১৫টি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে পৃথক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উজ্জ্বল আজিম (বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম) এবং রফিক আহমেদ সিরাজী (এএলআরডি)।
উজ্জ্বল আজিম বলেন, সমতলে বসবাসকারী আদিবাসীরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। ভূমি দখল, দলিল জালিয়াতি ও ঘর উচ্ছেদ তাদের জন্য নিত্যদিনের ঘটনা।
খুশী কবির বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে অতীতে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন হলেও সবার মতামত প্রতিফলিত হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, আদিবাসীদের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। বিশেষ করে সমতলের রাখাইন জনগোষ্ঠীর ভূমি বেদখল এই সংকটকে প্রকট করেছে। ২০০৭ সালে প্রণীত আদিবাসী অধিকার সনদে ১১টি দেশ স্বাক্ষর না করলেও বাংলাদেশ তাদের অন্যতম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আইনুন নাহার বলেন, আধিপত্যশীল গোষ্ঠীর মনোভাব ভয়াবহ। ভুল তথ্য প্রচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার আদিবাসীদের সুরক্ষাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে হবে। আইএলও কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ১৪১ ও ১৬৯ অনুস্বাক্ষর করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রতিটি অঞ্চলে নাগরিক কমিটি গঠন জরুরি।
সেমিনারে বক্তারা অভিন্নভাবে বলেন, সাংবিধানিক স্বীকৃতি, ভূমি সুরক্ষা ও বৈষম্য নিরসনে আদিবাসী সংস্কার কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি।