টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার পর তিনটি শর্ত মেনে ‘হাওরের সুলতান-৪’ হাউসবোট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন ভোক্তা অধিকারে অভিযোগকারী পর্যটক মাহাবুর আলম সোহাগ।
২২ জুলাই পরিবার নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে গিয়ে সোহাগ প্রতারণার শিকার হন। এরপর ২৬ জুলাই তিনি ভোক্তা অধিদপ্তরে সুলতান-৪-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। প্রথমে মামলার শুনানি ৬ আগস্ট নির্ধারণ করা হলেও পরে তা ১১ আগস্টে পরিবর্তন করা হয়।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে সুলতান-৪ কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে তিন শর্তে সমঝোতায় রাজি হয়। শর্তগুলো হলো—
১. দেশের যেকোনো জেলার এতিমখানায় ১০০ জন এতিমকে একবেলা মানসম্মত খাবার খাওয়ানো,
২. বুকিং প্রক্রিয়ায় ভোক্তাকে দ্রুত সব তথ্য জানানো,
৩. বোট সংক্রান্ত সব লেনদেনের ভাউচার সরবরাহ করা।
সোহাগ জানান, ভ্রমণের আগে নির্ধারিত সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেনি সুলতান-৪ কর্তৃপক্ষ। বুকিং অনুযায়ী শাহেববাড়ির ঘাট থেকে যাত্রার কথা থাকলেও পরিবর্তে ২৭ কিলোমিটার দূরের আনোয়ারপুর থেকে বোট ছাড়ে। বিষয়টি জানানো হয় আগের রাতে। তাছাড়া, বুকিংয়ের সময় নির্ধারিত রুমের তথ্যও তাকে দেওয়া হয়নি। তিনজনের জন্য অর্থ প্রদান করলেও এক বেডের রুম দেওয়া হয়, যা ছিল বিব্রতকর।
ঢাকায় ফিরে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করার পর সুলতান-৪ কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে এবং একাধিকবার যোগাযোগ করে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়। শেষ পর্যন্ত তিনটি শর্তে তারা সম্মত হলে সোহাগ মামলা প্রত্যাহারের আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন। তিনি জানান, এক মাসের মধ্যে শর্তগুলো পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং তিনি তাদের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।