তৃতীয় ধাপের সংলাপে বসার লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সোমবার (১১ আগস্ট) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকার ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিবেচনা এবং রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের দায়িত্ব দিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করে। এতে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহ সভাপতি করা হয়েছে।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এই কমিশনের মেয়াদ ছিল ছয় মাস, অর্থাৎ ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। ইতোমধ্যে প্রথম পর্বের সংলাপে ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৬২টি বিষয়ে এবং দ্বিতীয় পর্বে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক বিষয়ে ঐকমত্য গড়া হয়েছে।
সম্প্রতি কমিশন জানিয়েছে, সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং জুলাই সনদ মানার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করতে আগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এই কাজ সম্পন্ন করতে সরকার কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।