গত এক সপ্তাহ ধরে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যেন ফিটনেস ক্লাসের মনোযোগী ছাত্র। মিরপুরে কয়েকদিন অনুশীলনের পর তারা জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে অংশ নেন ফিটনেস পরীক্ষায়। সেখানে নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিবদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে কেলি জানান, “আমরা জাতীয় স্টেডিয়ামে স্প্রিন্ট টেস্ট ও টাইম ট্রায়াল নিয়েছি। টাইম ট্রায়ালে ১২ জন খেলোয়াড় ব্যক্তিগত সেরা সময় করেছে। নাহিদ অসাধারণ দৌড়েছে— ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে ১৬০০ মিটার শেষ করেছে। পুরো দলই এই ক্ষেত্রে উন্নতি করছে। আমরা কিছু স্ট্রেংথ টেস্টও নিয়েছি এবং সবগুলো মিলিয়ে ৫৬টি ব্যক্তিগত সেরা রেকর্ড পেয়েছি।”
কেলির মতে, ক্রিকেটাররা ফিটনেস নিয়ে অত্যন্ত মনোযোগী ও পরিশ্রমী। তিনি বলেন, “আমাদের খেলোয়াড়রা মোটিভেটেড, তারা নিজেদের সেরা করতে চায়। কখনো তাদের কাছ থেকে ফিটনেস নিয়ে অভিযোগ পাইনি। সবাই উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের এনার্জি ও উদ্যম সত্যিই দারুণ।”
১৬০০ মিটার দৌড় নিয়ে কেলি জানান, “অনেকে ভাবছে এগুলো নতুন টেস্ট, কিন্তু আসলে তা নয়। আমি ২০২৪ সালের এপ্রিলে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গত ১৮ মাস ধরে টাইম ট্রায়াল, স্ট্রেংথ টেস্ট, স্প্রিন্ট টেস্ট নিয়মিত করছি। এসবের ধারাবাহিক ডেটা আমাদের কাছে আছে, যা দিয়ে উন্নতির অগ্রগতি ট্র্যাক করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “সূচিতে বিরতি থাকলে খেলোয়াড়রা নিজেরাই অতিরিক্ত ফিজিক্যাল কাজ করে। শেষ সিরিজের পরও তারা আরও বেশি অনুশীলন করেছে। তবে ঘনঘন ম্যাচ থাকলে এই ধরনের ট্রেনিং কঠিন হয়ে পড়ে, যেমন শ্রীলঙ্কা সফরে হয়েছিল— ছয় সপ্তাহের সিরিজে প্রায় ৭০% দিনই ম্যাচ ছিল।”