যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা যদি কোনো অপরাধে গ্রেপ্তার হন, তাহলে আপিলের আগেই তাদের নিজ দেশে নির্বাসিত করার নিয়ম চালু আছে। সম্প্রতি ব্রিটেন সরকার এই তালিকায় ১৫টি দেশের মধ্যে ভারতের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশের ও পাকিস্তানের নাম রাখা হয়নি। ফলে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি নাগরিকরা আপিলের সুযোগ পাচ্ছেন, কিন্তু ভারতীয়দেরকে বিচারের আগেই দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর ‘এখন বহিষ্কার, পরে আপিল’ কর্মসূচির আওতায় নতুন দেশগুলো যুক্ত করার ফলে অপরাধীদের দ্রুত প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকরা ব্রিটেনে অপরাধে দোষী হলে আগে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে, তারপর তারা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আপিল শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন। তবে সন্ত্রাসী, খুনি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই ব্রিটেনে সাজা সম্পূর্ণ করতে হবে।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ইভেট কুপার বলেন, এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো বিদেশি অপরাধীদের দ্রুত নির্বাসন নিশ্চিত করা এবং অভিবাসন ব্যবস্থার অপব্যবহার রোধ করা। তিনি জানান, যারা দেশে অপরাধ করবে, তাদের আইনের ফাঁকি দেওয়া যাবে না।
নতুন তালিকায় ভারত ছাড়াও কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, অ্যাঙ্গোলা, বতসোয়ানা, ব্রুনেই, বুলগেরিয়া, গায়ানা, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাতভিয়া, লেবানন, মালয়েশিয়া, উগান্ডা ও জাম্বিয়া রয়েছে। বর্তমানে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের কারাগারে মোট বন্দির ১২.৩ শতাংশ বিদেশি, যার মধ্যে ভারতীয় বন্দির সংখ্যা ৩২০ জন।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তারা আরও বেশি দেশে অপরাধীদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।
এই নতুন নীতির ফলে নির্দিষ্ট মেয়াদের কারাদণ্ড প্রাপ্ত বিদেশি অপরাধীদের অবিলম্বে বহিষ্কার করা হবে এবং পুনরায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।