ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া উপকূলে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টা ২৪ মিনিটে ঘটে যাওয়া এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে। কেন্দ্রস্থলটি নির্ধারণ করা হয়েছে পাপুয়ার উপকূলীয় জনবহুল শহর আবেপুরা থেকে প্রায় ১৯৪ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে। ভূমিকম্পের মাত্রা এবং অবস্থান বিবেচনায়, এটি ছিল যথেষ্ট শক্তিশালী; তবে ভূমিকম্পটি তুলনামূলকভাবে গভীরে হওয়ায় এর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কিছুটা কমে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাথমিক পর্যায়ে মার্কিন সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন এবং জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা।
ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প ঘটে থাকে। এই অঞ্চলটি বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকা, যেখানে ভূ-অভ্যন্তরীণ ফল্ট লাইনের কারণে বড় ধরনের ভূমিকম্প ও সুনামির আশঙ্কা থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রাথমিকভাবে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, তবুও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ভূমিকম্পের পর আফটারশকের সম্ভাবনা থাকে এবং সেটিও ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এদিকে, ভূমিকম্পের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে পাপুয়ার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের উদ্বিগ্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।