এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফে থেমে গেল ঢাকা আবাহনীর যাত্রা। জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হোম ম্যাচে তারা কিরগিজস্তানের এফসি মুরাস ইউনাইটেডের কাছে ০-২ গোলের পরাজয় বরণ করেছে। ফলে টুর্নামেন্টের অভিষেক আসরেই মূল পর্বে জায়গা করে নিল মুরাস ইউনাইটেড।
প্রথমার্ধে দুই দল গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ৪৮ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে বাতসুলার নিখুঁত ক্রসে বক্সে লাফিয়ে জোরালো হেডে গোল করেন জুমাশেভ। আবাহনীর ডিফেন্ডাররা তাকে মার্কিংয়ে রাখতে ব্যর্থ হন, আর গোলরক্ষক মিতুল মারমা ছিলেন অসহায় দর্শক।
আবাহনী এরপর সমতা ফেরানোর চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষ রক্ষণে তেমন চাপ তৈরি করতে পারেনি। ৭২ মিনিটে একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড় সুলেমান দিয়াবাতে বক্সের কাছে বল বাড়ান মোরসালিনের কাছে, কিন্তু তিনি সুবিধাজনক অবস্থান থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন।
ইনজুরি সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জয় নিশ্চিত করে মুরাস। আবাহনীর ডিফেন্ডার কামরুলের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে জুমাশেভ একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে গোল করেন। মিতুল এগিয়ে এলেও জাল অক্ষত রাখতে পারেননি।
মাঠে কৌশলগতভাবে আবাহনী ভালো খেললেও শক্তিমত্তায় এগিয়ে ছিল কিরগিজ ক্লাব। তাদের দলে ইউক্রেনের কয়েকজন ফুটবলারের পাশাপাশি কিরগিজস্তান জাতীয় দলের পাঁচজন খেলোয়াড় ছিলেন। অন্যদিকে আবাহনীর ভরসা ছিল একমাত্র বিদেশি সুলেমান দিয়াবাতে, যিনি মাত্র দুই দিন অনুশীলন করেই ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেন। ১৭ মিনিটে তার একক প্রচেষ্টা গোলমুখে শট নিলেও তা বিপজ্জনক ছিল না। ২৩ মিনিটে ফরোয়ার্ড আল আমিন সুযোগ পেলেও কিরগিজ ডিফেন্ডার শট ব্লক করে দেন।
প্রথমার্ধে আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা একাধিক দুর্দান্ত সেভ করে দলকে পিছিয়ে পড়া থেকে বাঁচান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের দুটি গোলই হার নিশ্চিত করে দেয়।