ময়মনসিংহ নগরীর নাসিরাবাদ কলেজের অধ্যাপক, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট লেখক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকারের (৯০) মৃত্যুর পর দেশের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন তার একমাত্র ছেলে, স্লোভাকিয়ায় প্রবাসী সুমন সরকার। তিনি বলেন, “আমার বাবার শূন্যতা বাংলাদেশ পূরণ করতে পারবে না। বাবা সারাজীবন দেশকে নিয়ে ভাবতেন। তার চিন্তা, মনন ও কর্ম সবই দেশের ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে আবর্তিত হয়েছে। পরিবার কখনো তার অগ্রাধিকার ছিল না। তিনি প্রকৃত বাঙালি ও দেশের মানুষ ছিলেন। সবাই বাবার জন্য প্রার্থনা করবেন।”
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৩টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যাপক যতীন সরকার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ সময় তার মেয়ে সুদীপ্তা সরকার, যিনি ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত, বাবার মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, “বাবা চলে গেছেন, এটা দেশ ও সাহিত্য অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তার জীবন সম্পূর্ণ এবং বর্ণাঢ্য ছিল। আমরা চাই সবাই তাকে প্রার্থনায় রাখুন।”
সুদীপ্তা আরও জানান, প্রায় আড়াই মাস ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর আগে তার কোনো ব্যক্তিগত শেষ ইচ্ছা জানানো হয়নি। তার সব ভাবনা দেশের কল্যাণ ও মানুষের জন্যই ছিল।
অধ্যাপক যতীন সরকারের মৃত্যুতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত বলেন, “বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অপরিসীম। আমরা একজন প্রাবন্ধিক ও দেশপ্রেমিক মানুষকে হারালাম। এই ক্ষতি সহজে পূরণযোগ্য নয়।”
শেষকৃত্য মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ময়মনসিংহ উদীচী কার্যালয়ে সম্পন্ন হয় এবং সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় মরদেহ নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকায় নিয়ে স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হবে।