চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হাশিমপুর বকুলতলা এলাকায় মিজানুর রহমান অভি (৩৫) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যার পর অভির বন্ধু নুর আলম বেপারীও হত্যার হুমকির মুখে পড়েছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোরে অভির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভি নারায়ণগঞ্জে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন এবং পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুরে এসেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অভি ও নাহিদ গাজীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। নাহিদ ওই এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিরোধের জেরেই অভিকে হত্যা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নুর আলম বেপারী জানিয়েছেন, ঘটনার রাত আনুমানিক সোয়া ৩টার দিকে নাহিদ গাজীর ভাই নাজমুল গাজীর নাম্বার থেকে তাকে ফোন করা হয়। ফোনে তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, “অভিকে খেয়ে ফেলেছি, তোকেও খেয়ে ফেলবো।” ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে কান্নার শব্দ শোনা গেছে।
মরদেহ উদ্ধারকারী স্থানীয় কামাল নামের একজন জানান, তিনি একলাছপুর লঞ্চঘাটে যাওয়ার পথে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় অভিকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের ধারণা, হত্যাকাণ্ডটি ভোর রাতের দিকে ঘটেছে।
মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। আসামি গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের কারণে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। অভিযুক্ত নাহিদ গাজীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা আছে এবং তিনি নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। এই ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে নাহিদ গাজী নিখোঁজ রয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।