সিডিএর নকশা লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের জন্য ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখতে পান, ভবনটি অনুমোদিত নকশার বাইরে আটতলা পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে এবং আশপাশের জমি ব্যবহারেও অনিয়ম রয়েছে।
চলতি বছরের ২১ মে ইমারত কমিটি ইকবালকে নোটিশ দিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার এবং অননুমোদিত অংশ ভাঙার নির্দেশ দেয়। কিন্তু অভিযোগকারী প্রতিবেশিরা জানান, ইকবাল সেই নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে সিডিএর ইমারত কমিটি-১ এর প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ নেতৃত্বে একটি দল ভবনটি পরিদর্শনে যায়। সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি হয়।
পরিদর্শনকারী কাজী কাদের নেওয়াজ জানান, “উভয়পক্ষকে ডেকে আমরা অবৈধ অংশ চিহ্নিত করে ভাঙার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু আমাদের চলে যাওয়ার সময় দুই প্রতিবেশির মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি শুরু হয়, যার ফলে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায়।”
এরপর ইকবাল ফেসবুকে লাইভে এসে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক আঙ্গিকে উপস্থাপন করেন। তিনি দাবি করেন, বিএনপি নেতা ও কর্মীরা তাকে মারধরের চেষ্টা করছে। ভিডিওতে তিনি জানান, “আমি ডাক্তার ইকবাল। বাকলিয়ায় লুকিয়ে আছি। ৯৯৯-এ ফোন করেছি, কিন্তু কেউ আসছে না। আমাকে বাঁচান।”
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে কোনো রাজনৈতিক দলের চাঁদা দাবির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি নিয়মবহির্ভূত ভবন নির্মাণ নিয়ে দু’পক্ষের হাতাহাতি ছিল। পুলিশি উপস্থিতিতে ইকবাল আহত অবস্থায় বের হয়ে আসেন।
সিডিএর প্রকৌশলী আরও জানান, ইকবাল অভিযোগ করেছেন যে তাকে চাঁদা দিতে এবং নির্মাণ সামগ্রী কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। তবে পুলিশি রেকর্ডে এর কোনো উল্লেখ নেই। ফোনে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও ইকবাল সাড়া দেননি।