বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে প্রবাসী কল্যাণ ভবন অবরুদ্ধ করেছে কোরিয়া গমনেচ্ছুরা। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মানববন্ধন শেষে তারা ভবনের প্রবেশ ফটক বন্ধ করে সামনের সড়কে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর আন্দোলনকারীরা ভবনের বাইরে বের হওয়ার ফটকও বন্ধ করে দেন। তারা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অবরুদ্ধ অবস্থা চলবে।
আন্দোলনকারীরা জানান, ইপিএস পদ্ধতির মাধ্যমে কোরিয়ায় প্রেরণের ক্ষেত্রে বোয়েসেল ও এইচআরডি কোরিয়া কাজ করছে। তারা বোয়েসেল ও এইচআরডি কোরিয়ার ইপিএস পদ্ধতিতে কিছু যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগ, বোয়েসেলের কর্মকর্তাদের অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত সার্কুলার দিয়ে রোস্টার তৈরি করা হয়, যার ফলে হাজার হাজার রোস্টারভুক্ত প্রার্থী পূর্বেই ডিলিট হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন সমস্যা ঘটতে পারে।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করা হয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু বোয়েসেল ও রাষ্ট্র পক্ষ থেকে কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
কোরিয়ার গমনেচ্ছু ইপিএস কর্মীদের তিন দফা দাবি:
১. অবিলম্বে বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন), নির্বাহী পরিচালক মো. শওকত আলী এবং মহাব্যবস্থাপক (বৈদেশিক নিয়োগ) এ বি এম আবদুল হালিম সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের পদত্যাগ।
২. ইপিএসের বর্তমান সংকট সমাধানের জন্য ডিলিটকৃতদের পুনরোস্টার, ব্যাচভিত্তিক সাল ও সিরিয়াল অনুযায়ী ভিসা ইস্যু বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রকে কূটনৈতিকভাবে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হবে। এছাড়া, এসব বিষয়ে ছাত্র-প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনায় বসতে হবে।
৩. বোয়েসেলের পুরাতন অনিয়ম ও অন্যায় কাঠামো ভেঙে পুরো বোয়েসেল ব্যবস্থাকে নতুনভাবে সংস্কার করতে হবে।