২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান শফিকুল আলম। বুধবার (১৩ আগস্ট) তিনি প্রেস সচিব হিসেবে এক বছর পূর্ণ করার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ব্যক্তিগত অনুভূতি ভাগ করেছেন।
শফিকুল আলম লিখেছেন, এটি একটি অসাধারণ যাত্রা ছিল। বিদেশি সংস্থার ব্যুরো চিফ থেকে প্রতিদিন স্পটলাইটের মুখে আসা পর্যন্ত পথটি শেখার মধ্য দিয়ে গড়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কাজটি গোড়া থেকে শুরু করতে হয়েছে এবং ধীরে ধীরে দায়িত্ব গড়ে তুলতে হয়েছে। কিছু ভুল হয়েছে, বিশেষ করে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে, কখনো দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি হয়েছে, আবার কখনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া প্রয়োজনই ছিল না।
প্রেস সচিব জানিয়েছেন, তার পরিবারও এই এক বছরে দায়িত্বের সঙ্গে আসা চাপ সহ্য করেছে। কিছু বন্ধু হারিয়েছেন, কেউ তাকে ‘স্পিন ডাক্তার’ বলে সমালোচনা করেছেন। তবে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘সাদা মানে সাদা, কালো মানে কালো’, এবং ব্যাখ্যার পার্থক্য মানে মিথ্যা নয়।
শফিকুল আলম বিভিন্ন সমালোচনার বিষয়ে উল্লেখ করেছেন। যেমন হাসিনাকে ‘ডাস্টবিনে ময়লা ফেলা’ প্রসঙ্গ, বামপন্থিদের ‘বনসাই’ সংক্রান্ত মন্তব্য, লন্ডনে প্রতিবাদ, স্টারমারের কানাডা সফর ইত্যাদি। সব বিষয়ে তিনি তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, প্রেস সচিবের দায়িত্ব শিক্ষামূলক ও চ্যালেঞ্জিং ছিল। চাপ অনুভব করেননি, তবে দিন যদি ৩৬ ঘণ্টা হত তাতেও কম হত। সরকারের কার্যক্রমকে তিনি ‘এ++’ রেট দিয়েছেন, বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি উল্লেখ করেছেন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে মনোনিবেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
শেষে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত অর্থিকভাবে ধনী নন, এবং সবচেয়ে বড় চিন্তা হলো লাইভ ব্রিফিং বা টকশোতে ভুল করে ফেলার ভয়, যেখানে তা ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।