আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল। সিনিয়র দল থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক পর্যায়েও এশিয়ার মূলপর্বে জায়গা করে নিচ্ছে দেশ। তবে দেশের সব জেলায় সমানভাবে নারী ফুটবলের চর্চা নেই। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চল থেকে নতুন নারী ফুটবলার উঠে আসছে না বলে জানিয়েছেন বাফুফের নারী উইং প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাফুফে জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। ২০১৫ সাল থেকে জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অর্থায়নে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এক দশকের অংশগ্রহণ চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে কিরণ বলেন, “সিলেট অঞ্চল থেকে খেলোয়াড় আসছে না, তবে অন্যান্য এলাকায় প্রায় একইভাবে খেলোয়াড় সরবরাহ হচ্ছে।”
আগামী শনিবার থেকে মাগুরা, মাদারীপুর, রাজশাহী, রাঙামাটি, রংপুর ও ময়মনসিংহে শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা। ৪২টি দল ছয় গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা রানার্স-আপ, পাশাপাশি চূড়ান্ত পর্বের ভেন্যুর দল মূলপর্বে খেলবে। আগে নকআউট পদ্ধতিতে আয়োজন হওয়ায় দলগুলো সর্বোচ্চ ১-২টি ম্যাচ খেলত। এবার রাউন্ড রবিন লিগে হওয়ায় প্রতিটি দল অন্তত ছয়টি ম্যাচের সুযোগ পাবে।
অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ৪৫ হাজার টাকা এবং ভেন্যুগুলো সমপরিমাণ অর্থ সহায়তা পাবে। মূলপর্বে ওঠা দলগুলোকে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আবারও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর বাফুফের নির্বাহী কমিটি ২৯ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বিলুপ্ত করে। যদিও জেএফএ টুর্নামেন্টে সাধারণত জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনই অংশ নেয়। এ প্রসঙ্গে বাফুফে কর্মকর্তারা জানান, বিলুপ্ত কমিটির সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও এখনো জেলাগুলোকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়নি। যেসব জেলা সক্রিয় এবং খেলতে আগ্রহী, তাদের নিয়েই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, আগামীকাল অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল ভুটান রওনা দেবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বে অংশ নিতে। অনেকের মতে, জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৪ প্রতিযোগিতা কয়েক মাস আগে আয়োজন করা হলে এখানকার মেধাবী খেলোয়াড়দের আসন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিবেচনা করা যেত। কিরণ এ বিলম্বের কারণ হিসেবে জানান, “জেএফএ’র নতুন সভাপতি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রায় দুই মাস আগে তার সাথে বৈঠক হয়। তিনি ফান্ড রিলিজের আশ্বাস দেন এবং পরে তা কার্যকর হয়।”
জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আগে এই টুর্নামেন্টে ৩০ হাজার ডলার সহায়তা করত, তবে করোনার পর তা কমে ২০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। টুর্নামেন্টের ব্যয় মেটাতে বাফুফেও অতিরিক্ত অর্থায়ন করে থাকে।