মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে নরওয়ের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে টেলিফোনে কথা বলার সময় নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন—এমন দাবি করেছে নরওয়ের বাণিজ্য বিষয়ক দৈনিক ডাগেন্স নেয়ারিংসলিভ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কারের প্রতি আগ্রহ নিয়ে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
ইসরায়েল, পাকিস্তান, কম্বোডিয়াসহ কয়েকটি দেশ বিভিন্ন শান্তি চুক্তি ও যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন দিয়েছে। ট্রাম্প নিজেও প্রকাশ্যে বলেছেন, হোয়াইট হাউসের আগের চারজন প্রেসিডেন্টের মতো তিনিও এ পুরস্কারের যোগ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, নরওয়ের অর্থমন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গ অসলো শহরে হাঁটার সময় হঠাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফোন পান। ফোনে ট্রাম্প বাণিজ্য শুল্কের পাশাপাশি নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়েও কথা বলেন।
এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য হোয়াইট হাউস, নরওয়ের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং নরওয়েজীয় নোবেল কমিটির কাছে অনুরোধ জানানো হলেও তারা সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবছর শত শত প্রার্থীকে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি, যা নরওয়ের সংসদ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত পাঁচ সদস্য দ্বারা পরিচালিত। আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রতি বছরের অক্টোবরে অসলোতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
পত্রিকাটি আরও জানায়, ট্রাম্প এর আগেও ন্যাটোর সাবেক মহাসচিব ও বর্তমান নরওয়ের অর্থমন্ত্রী স্টলটেনবার্গের সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোরের সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাণিজ্য শুল্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ফোন করেছিলেন। তবে নোবেল পুরস্কার প্রসঙ্গে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। কলে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারসহ হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই হোয়াইট হাউস নরওয়ের পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর শুল্কের সমান। নরওয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ শুল্ক ইস্যুতে আলোচনা এখনো চলছে।