রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় ফাহমিদা তাহসিন কেয়া (২৫) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, পারিবারিক কলহের জেরে কেয়ার স্বামী সিফাত আলী তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। হত্যার পর তিনি ফোনে শাশুড়িকে জানান, কেয়া আত্মহত্যা করেছে, এরপর পালিয়ে যান।
পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির মেট্রো পিলার ৩২২-এর বিপরীতে অনামিকা কনকর্ড অ্যাপার্টমেন্টে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন কেয়া। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের বাবা-মা জানান, রাত ১টা ৫৬ মিনিটে জামাই সিফাত ফোন করে বলেন, কেয়া আত্মহত্যা করেছে। পরে বন্ধুদের সহায়তায় তিনি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরিবারের দাবি, সিফাত ছিলেন রাগী স্বভাবের এবং সামান্য কারণে স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। ঘটনার পর থেকে সিফাত, তার কয়েক বন্ধু এবং বাসার কাজের ছেলে মনির পলাতক রয়েছেন।
মিরপুর মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। স্বামী পলাতক থাকায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা—তা নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে।