বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা বা কোনো ধরনের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান না করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। বরং এদিনকে কেন্দ্র করে দলটি দেশব্যাপী দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে বলে জানানো হয়েছে।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে কেবল তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায়ই নয়, বরং জাতির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের স্মরণেও বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া বীরদের, ১৯৯০ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের, এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা। পাশাপাশি এসব ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্যও প্রার্থনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই— এই জন্মদিনে কোনো ধরনের কেক কাটা বা আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন হবে না। শুধুমাত্র মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে এ দিনটি পালিত হবে। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আমরা এই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।”
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আগামী ১৫ আগস্ট সকাল ১১টায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন এবং একই সময়ে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় পর্যায়ে একই ধরনের কর্মসূচি পালিত হবে।
এভাবেই বিএনপি এ বছর খালেদা জিয়ার জন্মদিনকে রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের সঙ্গে মিলিয়ে পালন করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা শুধুমাত্র উদযাপনের সীমাবদ্ধতায় না থেকে জাতীয় প্রার্থনা ও স্মৃতিচারণের দিনে রূপ নেবে।