হাইকোর্ট রাষ্ট্রপতিকে শপথ প্রদান সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয়ে প্রধান বিচারপতি নাকি স্পিকার কর্তৃক শপথ পাঠ করানো হবে তা নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আদালত এই বিষয়ে মতামত জানতে সাতজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছে। একই সঙ্গে রুলের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
সাত অ্যামিকাস কিউরির মধ্যে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ড. শাহদীন মালিক, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান এবং ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। তাঁরা আদালতের কাছে এই বিতর্কিত বিষয়ে তাদের পেশাদার মতামত উপস্থাপন করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। আদালত বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে, কারণ রাষ্ট্রপতিকে শপথ করানোর প্রক্রিয়া সংবিধানের সরাসরি প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ।
এই মামলার সূত্রপাত ১০ মার্চ, যখন গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী একটি রিট দায়ের করেন। তিনি রাষ্ট্রপতিকে দেশের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক শপথ পাঠ করানোর বিষয়টি সংবিধানের বিধান অনুযায়ী পুনর্বহাল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনার আবেদন জানান। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ১১ মার্চ রুল জারি করেছিলেন।
রুলের মাধ্যমে আদালত স্পষ্ট করেছেন যে, রাষ্ট্রপতিকে শপথ করানোর ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি এবং স্পিকারের দায়িত্ব, সংবিধানের বিধান অনুযায়ী কিভাবে কার্যকর হবে তা আদালতের পর্যবেক্ষণ ও অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত বিবেচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। আদালত আশা করছে, অ্যামিকাস কিউরির মতামত প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকর হবে যাতে সংবিধান অনুযায়ী কোনো অস্পষ্টতা না থাকে।
এই প্রসঙ্গে, রিটের উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রপতিকে শপথ করানোর প্রক্রিয়ায় সংবিধান অনুযায়ী শুদ্ধ ও সঠিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আদালত এই বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে যাতে রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের শপথ গ্রহণের প্রক্রিয়া সংবিধানগতভাবে সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।