পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির প্রভাবে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দেওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রবল স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাটুরিয়ার ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এর আগে বুধবার রাতে পদ্মার স্রোতে ৫ নম্বর ঘাট ভেঙে পড়ে ফেরি লোড-আনলোড কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানায়, শুক্রবার দুপুরে ৪ নম্বর ঘাটেও ভাঙন দেখা দিলে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর আগে প্রায় ১০ দিন আগে পাটুরিয়ার লঞ্চঘাট নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে নদীর পশ্চিম পাশের ২ নম্বর ঘাট থেকে সীমিত আকারে লঞ্চ চলাচল করছে। এখন ফেরি চলাচল ৩ ও ৪ নম্বর ঘাটে সীমিত পরিসরে পরিচালিত হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের ডিজিএম আব্দুস সালাম বলেন, ‘পদ্মার স্রোতের কারণেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সীমিত আকারে ফেরি চললেও মানুষের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
অন্যদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আরিচা গেজ রিডার ফারুক হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৮ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার স্তরে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধির ধারা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার দুর্গম আলোকদিয়া, মধ্যেনগর, ত্রিশুরি, মালুচি ও তেওতা এলাকায় যমুনার ভাঙনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এসব অঞ্চলে সীমিত আকারে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও স্থানীয়রা আরও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।