মিশরের বিশ্বখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় সব বিভাগেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সেরা দশে স্থান করে নিয়ে অনন্য সাফল্য দেখিয়েছেন। রোববার ‘হিস্ট্রি অ্যান্ড সিভিলাইজেশন’ এবং গত সপ্তাহে ‘কুরআনিক সাইন্স অ্যান্ড তাফসির’ ফ্যাকাল্টির ফলাফল প্রকাশিত হয়।
কুরআনিক সাইন্স বিভাগে হাবিবুল হাসান ৯০% গ্রেড পেয়ে সামগ্রিক মেধা তালিকায় ষষ্ঠ এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন। হিস্ট্রি অ্যান্ড সিভিলাইজেশন বিভাগে আব্দুল্লাহ আল ফারুক সেরা দশে অবস্থান করে সামগ্রিক ফলাফলে চতুর্থ এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন।
ফ্যাকাল্টির ডিন তাদের উল্লাস প্রকাশ করে বলেছেন, “আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে ৮৩টি দেশের শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেন। এত বিপুল প্রতিযোগিতার মধ্যে সেরা দশে আসা অত্যন্ত কঠিন, হাবিবুল হাসান ও আব্দুল্লাহ আল ফারুক তা সম্পন্ন করেছে। তাদের বাবা-মা ও শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানাই।”
হাবিবুল হাসান বলেন, “এ সাফল্যের জন্য মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমার সকল উস্তাদ ও বাবা-মায়ের প্রতি ধন্যবাদ, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দোয়ার ফলে আমি এখানে পৌঁছেছি। দেশবাসীর দোয়া কামনা করছি।”
তাদের শিক্ষাজীবন থেকে জানা যায়, হাবিবুল হাসান জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ থেকে ২০২০ সালে বোর্ড স্ট্যান্ড ও মুমতাজসহ দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেছেন এবং আব্দুল্লাহ আল ফারুক জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া থেকে মুমতাজ হয়েছেন। তারা তাহনীফ একাডেমি নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করেন।
শরিয়া অ্যান্ড ল ফ্যাকাল্টিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আহমাদুল্লাহ আল জামি ৯০% গ্রেড নিয়ে সামগ্রিক ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি চতুর্থ। আরও চার জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই ফ্যাকাল্টির সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন—আব্দুল কাইয়ুম ফারুক (পঞ্চম, ৯০%), শুআইবুল ইসলাম (সপ্তম, ৮৮.৭৪%), আনাস কাজি (অষ্টম, ৮৮.৩৪%)।
ইসলামিক থিওলজি ফ্যাকাল্টির ‘স্নাতক শেষ বর্ষ আদিদা ও ফিলোসফি’ বিভাগে গোলাম রাব্বানী চৌধুরী (তৃতীয়), মুহাম্মদ জুনাইদ (ষষ্ঠ) ও মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন (অষ্টম) স্থান পান। দাওয়াহ অনুষদে মুহাম্মদ অলিউল্লাহ (তৃতীয়) ও আব্দু হ আল আসিফ (পঞ্চম) এবং ইসলামিক স্টাডিজে মুহাম্মাদ শুআইব নবম স্থান অধিকার করেন।