বাজারে সরবরাহ কমার কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এর দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। চলতি তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজি দরের পতন ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমেছে, ফলে বাজারে সরবরাহ সীমিত হয়ে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘ আট মাস পর বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় দেশে এর দামও কমেছে।
সপ্তাহখানেক আগে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা ছিল। তবে গত ৩-৪ দিনের মধ্যে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে কারওয়ান বাজারে রোববার বিকেলে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দেখা গেছে। পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানেও ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছেনা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা বৃষ্টি ও কিছু এলাকায় হঠাৎ বন্যার কারণে মরিচের উৎপাদন কমেছে এবং অনেক গাছ নষ্ট হয়েছে। কেরানিগঞ্জ মডেল টাউনে সবজি বিক্রি করা আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফলন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহও সীমিত এবং তাই দাম বেড়েছে।
দীর্ঘ আট মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার চারটি ট্রাকে ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে পৌঁছেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আট মাস আগে ভারত এই বন্দরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছিল।
বাজারে আমদানির প্রভাব দেখা দিয়েছে। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, আমদানির খবর প্রকাশের একদিনের মধ্যে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের কেজি দরে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, খুচরা বাজারে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। উল্লেখ্য, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১২ আগস্ট বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন পেঁয়াজ আমদানি শুরু করার ঘোষণা দেন।