বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ধর্মকে ব্যবহার করে যারা মানুষকে বিভক্ত করতে চায়, তারা আসলে দেশের চিরায়ত সম্প্রীতির শত্রু। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ধর্মব্যবসায়ীদের কোনো স্থান এই বাংলাদেশে হবে না।
রোববার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জেএমসেন হলে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজিত মাতৃসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, এই দেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিম—সবাই মিলে গড়ে উঠেছে। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। সাধারণ মানুষ ধর্ম নিয়ে বিভাজন চায় না, কিন্তু কিছু মহল সবসময় ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে। দেশের মানুষ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি শ্রীকৃষ্ণের মানবপ্রেম, সত্য ও ন্যায়ের শিক্ষাকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তার জীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার উদাহরণ দিয়ে ভরা। দ্রৌপদীর পাশে দাঁড়িয়ে নারীর মর্যাদা রক্ষা করা শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা আজও প্রাসঙ্গিক। তাই নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়াই তার অন্যতম শিক্ষা।
মাতৃসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শ্রীমতী ঊষা আচার্য্য। উদ্বোধক ছিলেন মা কানন বালা দেবী (সন্তোষী মা)। প্রধান ধর্মীয় আলোচক ছিলেন অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্ত্তী। এছাড়া শিক্ষিকা মৌসুমি চৌধুরী, বৃষ্টি বৈদ্য, অশ্রু চৌধুরী, সোমা দাশ, অধ্যাপিকা অপর্না বিশ্বাস প্রমুখ মাতৃ আলোচনায় অংশ নেন। ধর্মীয় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক রুপন ধর, শিক্ষক উত্তম কুমার চক্রবর্ত্তী, মাস্টার অজিত কুমার শীল এবং শ্রীমৎ স্বামী দীপানন্দ পুরী মহারাজসহ অন্যান্য সনাতন ধর্মগুরুরা।