২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাদ্রাসাকে নির্ধারিত ই-মেইলের (addmin.dme24@gmail.com) মাধ্যমে এ তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান মজুমদারের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ (সরকারি গেজেটভুক্ত) ও আহত শিক্ষার্থীদের নাম, পিতার নাম, মোবাইল নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা, সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার নাম, প্রতিষ্ঠানপ্রধানের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ নির্দেশনা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ১২ আগস্টের এক স্মারকের আলোকে দেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত ১১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সেবা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জাবের মো. সোয়াইব স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানানো হয়— বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসাসহ দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের বীরগাথা লিখিত আকারে ২০ আগস্টের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী অধ্যায়। শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশ নতুন সম্ভাবনার পথে যাত্রা শুরু করেছে। শহীদরা কেবল শিক্ষার্থীই ছিলেন না, তারা ছিলেন গণতন্ত্রের মশালবাহী। তাদের অবদান চিরকাল স্মরণীয় করে রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একটি কমিটি গঠন করে সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠার একটি প্রবন্ধ লিখতে হবে, যেখানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের ছবি ও তথ্য সংযোজন করতে হবে। হার্ডকপি পাঠানোর পাশাপাশি নিকস বাংলা ১৪ ফন্টে প্রস্তুতকৃত সফটকপি ই-মেইল করতে হবে apa@moedu.gov.bd ঠিকানায়।
প্রবন্ধের সঙ্গে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন, ছবি, সরকারি গেজেট বা অন্যান্য প্রমাণ সংযুক্ত করতে হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানপ্রধান, জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক এবং প্রবন্ধ-সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরযুক্ত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।