খেলার সময় হতাশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি নেইমার জুনিয়র। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর নিজেকে আটকে রাখতে না পেরে মাঠে বসেই কাঁদতে শুরু করেন তিনি। কয়েকজন সহকর্মী তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে হারের ধাক্কা সামলাতে পারেননি নেইমার।
আজ সকালে ব্রাজিলিয়ান লিগ সিরি আ’র ম্যাচে ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে ৬-০ গোলে হেরে যায় নেইমারের দল সান্তোস। প্রথমার্ধে মাত্র একটি গোল খেলে হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ভাস্কো দা গামা একে একে পাঁচটি গোল করে সান্তোসকে বিধ্বস্ত করে।
এই ম্যাচের আগে নেইমারের সবচেয়ে বড় হার ছিল ৪-০ গোল ব্যবধানে। ২০১১ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপে এবং ২০১৭ সালে পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে এই ধরনের হারের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তবে আজকের হার সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে।
মাঠে নেইমারের জাতীয় দল সতীর্থ ফিলিপে কৌতিনহোর বিপরীতে সান্তোসের কোনো প্রতিরোধে দাঁড়াতে পারেনি। ভাস্কো দা গামার জয় এসেছে কৌতিনহোর অবদানেও; দুই গোল করেছেন তিনি ম্যাচের ৫৪ ও ৬২ মিনিটে। এই জয়ে ভাস্কো দা গামা অবনমন অঞ্চলের বাইরে আসে, ১৮ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে সান্তোস ২১ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে রয়েছে।
হারের পর নেইমার বলেন, “আমি লজ্জিত। আমাদের পারফরম্যান্স সম্পূর্ণ হতাশাজনক। সমর্থকদের প্রতিবাদের অধিকার আছে, তবে সহিংসতা ছাড়া। আমার জীবনে কখনো এমন লজ্জার অনুভূতি হয়নি। কান্না এসেছে রাগ থেকে।”
ম্যাচের পর সান্তোস ক্লাব প্রধান কোচ ক্লেবার হাভিয়েরকে বরখাস্ত করেছে। ক্লাব এক বিবৃতিতে তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানিয়ে ছাঁটাইয়ের বিষয় নিশ্চিত করেছে।