চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ায় আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যে জানা যায়, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে একটি নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে বায়ান্নুর শহরের অন্তত ১৩ জন বাসিন্দা বন্যার পানিতে ভেসে যান।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে ৭০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মী কাজ শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ইনার মঙ্গোলিয়ার বায়ান্নুরকে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কৃষি অঞ্চল হিসেবে ধরা হয়। শহরটি জাতীয় শস্য, তেল উৎপাদন এবং ভেড়া প্রজনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
চীনে সাধারণত জুলাই থেকে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে চরম বৈরী আবহাওয়া দেখা দেয়। এ বছরও উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণ বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এ ধরনের আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যায় হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং শত শত কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশে সাড়ে তিন মাসের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শনিবার শেষ হয়। তবে টানা বর্ষণের কারণে কৃষি কর্মকর্তারা জেলেদের নৌকা নিয়ে বন্দরে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া শুক্রবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে একটি উৎসব চলাকালে অবকাঠামো ধসে দুইজনের মৃত্যু এবং অন্তত তিনজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর আগে গত মাসের শেষে রাজধানী বেইজিংয়ে ভয়াবহ বর্ষণে ৪৪ জন নিহত হন। সে সময় প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
প্রকৃতির এই ধ্বংসাত্মক রূপ চীনে খাদ্যনিরাপত্তা, অবকাঠামো এবং স্থানীয় জীবিকার ওপর গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে।