Monday, August 18, 2025
spot_imgspot_img
Homeরাজনীতিবিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: জাতীয় উদযাপন কমিটি গঠন, সামনে রাজনৈতিক বার্তার ইঙ্গিত

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: জাতীয় উদযাপন কমিটি গঠন, সামনে রাজনৈতিক বার্তার ইঙ্গিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। সোমবার (১৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, এই উপলক্ষে একটি জাতীয় উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আর সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন রুহুল কবির রিজভী নিজে। কমিটিতে আরও রয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে জন্ম নেয় বিএনপি। রমনা গ্রিন ময়দানের সেই ঘোষণার মধ্য দিয়েই দলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। চার দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি ক্ষমতা, বিরোধী আন্দোলন এবং নানা উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়ে আছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে তাই শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং দলের অতীত ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য একসঙ্গে স্মরণ ও ঘোষণা করার সুযোগ তৈরি হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন কেবল উদযাপন নয়, বরং একটি কৌশলগত রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকারের প্রশ্নে দলটি আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে। তাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে অতীতের ঐতিহ্যের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ তুলে ধরা হতে পারে।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এসব আয়োজনের মাধ্যমে শুধু দলীয় নেতাকর্মী নয়, সাধারণ মানুষকেও সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করবে বিএনপি।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত উদযাপন কমিটি মূলত সাংগঠনিক দিক সামলালেও এর রাজনৈতিক প্রতিফলন জাতীয় অঙ্গনে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপির জন্য একদিকে অতীতের সাফল্য-ব্যর্থতার মূল্যায়নের সময়, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ আন্দোলনের অঙ্গীকারের সুযোগ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments