মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ মিজানুল ইসলাম। সম্ভাব্য সাক্ষীদের মধ্যে আছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, গবেষক ও লেখক বদরুদ্দীন উমর এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রসিকিউটর বলেন, ‘উনাদের সঙ্গে আলোচনা করব, তারা কবে সাক্ষ্য দিতে পারবেন সেটি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি আরও জানান, হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে চলমান মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হতে পারে। ইতিমধ্যে এ মামলায় নয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
গতকাল চারজন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে ষষ্ঠ সাক্ষী আব্দুস সামাদ বলেন, রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে তাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাথার পেছন থেকে গুলি বের করতে হয়।
অষ্টম সাক্ষী হিসেবে হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাঈম সিকদার জানান, গত বছরের ৪ আগস্ট খুলনায় আন্দোলনের সময় পুলিশ খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে শটগান দিয়ে গুলি চালায়। প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শরীরে এখনো কয়েকশ স্প্লিন্টার রয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি বিচারাধীন। এ মামলার আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতিমধ্যে অপরাধ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান এখনো পলাতক।