২০২৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক মানবিক সহায়তাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। বিশ্ব মানবতা দিবস উপলক্ষে সংস্থাটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছর বিশ্বব্যাপী ৩৮৩ জন সহায়তাকর্মী নিহত হয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে শুধু গাজায় চলমান সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮১ জন, আর সুদানে নিহত হয়েছেন ৬০ জন সহায়তাকর্মী। এ ছাড়া অনেককে কর্তব্যরত অবস্থায় বা নিজ বাড়িতে আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।
গত বছর নিহতদের পাশাপাশি ৩০৮ জন আহত, ১২৫ জন অপহৃত এবং ৪৫ জনকে আটক করা হয়। এইড ওয়ার্কার সিকিউরিটি ডেটাবেসের অস্থায়ী পরিসংখ্যান অনুসারে চলতি বছরের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত আরও ২৬৫ জন সহায়তাকর্মী নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থার প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, “একজন মানবিক সহায়তা কর্মীর ওপর আক্রমণ মানে আমাদের সবার ওপর আক্রমণ। এমনকি এটি তাদের ওপরও আঘাত, যাদের আমরা সেবা করি।” তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তাকে “লজ্জাজনক উদাহরণ” বলে আখ্যা দেন এবং সহায়তাকর্মীদের সুরক্ষা ও অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, সহায়তাকর্মী ও কার্যক্রমের ওপর আক্রমণ আন্তর্জাতিক মানবতা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব আক্রমণ যুদ্ধ ও দুর্যোগে আটকে থাকা লাখো মানুষের জীবন রক্ষার প্রচেষ্টাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে।
অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানায়, চলতি বছর এ পর্যন্ত ১৬টি দেশে স্বাস্থ্যসেবার ওপর ৮০০টিরও বেশি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, যাতে ১,১১০ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগী নিহত হয়েছেন।
২০০৩ সালের এই দিনে বাগদাদে জাতিসংঘ কার্যালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলায় মানবাধিকার প্রধান সার্জিও ভিয়েরা ডি মেলোসহ ২২ জন নিহত হন। তাদের স্মরণে এই দিনটিকে বিশ্ব মানবতা দিবস ঘোষণা করা হয়।