ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর (ডিআরসি) পূর্বাঞ্চলে চলতি মাসে ভয়ঙ্কর সহিংসতা ঘটেছে। দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন এমওএনইউএসসিও জানিয়েছে, আইএসআইএল সমর্থিত অ্যালাইড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এডিএফ) হামলায় অন্তত ৫২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলার লক্ষ্য ছিল পূর্ব উত্তর কিভু প্রদেশের বেনি এবং লুবেরো অঞ্চল। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশন।
গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, দেশের পূর্বাঞ্চলে ডিআরসি সেনাবাহিনী এবং এম২৩ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে নতুন করে সহিংসতা দেখা দিয়েছে। এ সময় সরকার এবং এম২৩ স্থায়ী শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সোমবার পর্যন্ত কোনো চুক্তি ঘোষণা হয়নি।
এমওএনইউএসসিও জানিয়েছে, হামলার সময় এডিএফ শুধুমাত্র মানুষ হত্যা করেনি, বরং ব্যাপক অপহরণ, লুটপাট, বাড়িঘর ও যানবাহন পুড়িয়ে ফেলা-র ঘটনা ঘটিয়েছে। বাপেরে সেক্টরের স্থানীয় প্রধানের ভাষ্য, এডিএফ বাসিন্দাদের জাগিয়ে এক জায়গায় জড়ো করে, দড়ি দিয়ে বেঁধে এবং চাপাতি ও খোঁচা দিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে।
কঙ্গোর আঞ্চলিক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, এডিএফ বাহিনী সেনাদের কাছে পরাজিত হওয়ার পর বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসে এ ধরনের সহিংসতা নতুন নয়; ইতুরি প্রদেশের কোমান্ডা শহরে তারা গত মাসে প্রায় ৪০ জনকে হত্যা করেছিল।
এই ঘটনা কঙ্গোর মানুষের জন্য একটি অনিশ্চিত ও ভীতিকর মানবিক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন সম্ভাব্য কঠোর ভাষায় হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং পরিস্থিতির দ্রুত শিকড় ভেঙে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে।