ফরিদপুরের মধুখালীতে ১১ বছর বয়সী শিশু তামিম তালুকদারকে অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য দাবি করা হয় ১৫ লাখ টাকা। টাকা না দেওয়ায় অপহরণকারীরা শিশুটিকে হত্যা করে। পুলিশ চার দিন পর অপহরণকারীর তথ্যের ভিত্তিতে তামিমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত তামিম মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বড় গোপালদী মধ্যপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. শামীম তালুকদারের ছেলে। সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে পাশ্ববর্তী কোড়কদী ইউনিয়নের বাঁশপুর এলাকায় বিলের পানিতে শিশুটির লাশ ভেসে উঠেছিল।
পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন— মাগুরার মোহাম্মাদপুর উপজেলার চুরারগাতি এলাকার খাদেম শেখের ছেলে তুহিন শেখ (৩০) এবং মাগুরা জেলা সদরের আমিরুল (২৫)। জানা গেছে, ১৫ আগস্ট বিকালে তামিম নিখোঁজ হয়। সেই রাতে অপহরণকারীরা তার মা রিমা আক্তারের নিকট ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
তুহিন শেখ প্রায় এক বছর আগে নিহত তামিমের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেছিল। এই সূত্র ধরে এলাকার মানুষের সঙ্গে পরিচিতি তৈরি করে এবং প্রায় ১৫ দিন আগে আবার গ্রামে এসে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। ঘটনার দিন তামিমকে নিয়ে বের হওয়া তার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে সমাজে অপরাধ বৃদ্ধি পাবে। শোকাহত পরিবারও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম নুরুজ্জামান জানান, অপহরণের মামলার পর আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার তথ্য অনুযায়ী শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মামলায় আদালতের মাধ্যমে আসামীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় এবং বিলের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। হত্যা মামলা এখনো প্রক্রিয়াধীন। আসামীকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।