পাকিস্তান আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে তাদের প্রথম নভোচারীকে মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল জানিয়েছেন, এই মহাকাশ মিশন পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হবে। সোমবার (১৮ আগস্ট) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম প্রোপাকিস্তানি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) এবং চীনের মহাকাশ সংস্থা। মিশনের অংশ হিসেবে দুইজন পাকিস্তানি প্রার্থীকে চীনের নভোচারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। প্রশিক্ষণ শেষে একজনকে বৈজ্ঞানিক পেলোড বিশেষজ্ঞ হিসেবে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে তা শেষ হওয়ার কথা।
নির্বাচিত নভোচারী চীনের স্পেস স্টেশনে যোগ দিয়ে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এর মধ্যে রয়েছে জীববিজ্ঞান, চিকিৎসা, তরলবিজ্ঞান, উপকরণ গবেষণা, পরিবেশবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যা। মিশনের মাধ্যমে পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণার জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী হবে।
আহসান ইকবাল বলেন, “২০২৬ সালের মধ্যেই আমরা আমাদের প্রথম নভোচারীকে চীনের মহাকাশ স্টেশনে পাঠাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি দেশের মহাকাশ অভিযানে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।”
পাকিস্তানের মহাকাশে এই প্রথম পদক্ষেপ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য বড় সুযোগ হিসেবে ধরা হচ্ছে। দেশের তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য এটি উৎসাহের উৎস হতে পারে। এ মিশন শুধু প্রযুক্তিগত উন্নতি নয়, বরং পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মহাকাশ অভিযানে স্বীকৃতি এবং গৌরব বৃদ্ধির প্রতীক হিসেবেও গুরুত্ব বহন করছে।