অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য দখল অভিযান ও ফিলিস্তিনিদের উত্তর সিনাই অঞ্চলে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কায় সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে মিসর। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই–কে এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিনাই উপদ্বীপে প্রায় ৪০ হাজার মিশরীয় সেনা অবস্থান করছে। এই সংখ্যা ১৯৭৯ সালের মিসর–ইসরায়েল শান্তিচুক্তিতে অনুমোদিত সেনা সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ।
আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ মিসর সামরিক শক্তির দিক থেকেও মহাদেশে অন্যতম। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম বিশ্বে একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে দেশটি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
সামরিক কর্মকর্তা জানান, সেনাবাহিনী বর্তমানে “বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায়” রয়েছে। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সরাসরি নির্দেশে রাফাহ ও শেখ জুওয়েইদসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় সাঁজোয়া যান, ট্যাংক ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।
মিসর স্পষ্ট করেছে, এ সেনা মোতায়েন পুরোপুরি প্রতিরক্ষামূলক এবং সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্যে গৃহীত পদক্ষেপ। তবে সীমান্তে কোনো হামলা হলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে দেশটির প্রশাসন।
প্রেসিডেন্ট সিসি একাধিকবার পরিষ্কার করেছেন যে, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উৎখাত করে সিনাই অঞ্চলে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা মিসরের জন্য গুরুতর হুমকি। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতেই সমাধান খুঁজতে হবে। উৎখাত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সীমান্তে এই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন মিসরের কৌশলগত সতর্কবার্তা। গাজা ইস্যুতে কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকলেও, নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশটি আপসহীন অবস্থান নিয়েছে।