সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথরের ঘটনায় উত্তেজনার মধ্যেই এবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি চাকা অদৃশ্য হয়ে গেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার বিমানবন্দর থানায় জিডি করেছেন বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৬ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি ‘আনসার্ভিসেবল টায়ার’ হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশের অকশন শেডে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা গেছে, বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হক ওই চাকা ‘বেসরকারি এয়ারলাইন্স কর্মকর্তাকে’ ব্যবহার করার জন্য দিয়েছিলেন, যা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি।
বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা আক্তার জানান, বিমানের পক্ষ থেকে চাকার বিষয়ে জিডি করা হয়েছে এবং পুলিশ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমান কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি চাকার মূল্য ৫ থেকে ১৫ হাজার ডলার, যার ফলে প্রায় কোটি টাকার চাকা অবৈধভাবে সরানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
ঘটনার পর অভিযোগ স্বীকার করে ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার মো. আরমান হোসেন লিখিতভাবে বিমান কর্তৃপক্ষকে জানান, তিনি ১০টি চাকা বেসরকারি এয়ারলাইন্সকে দিয়েছেন। পরে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের নির্দেশে চাকার একটি অংশ ফেরত আনা হয় এবং অবশিষ্ট চাকার অবস্থান নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর জানান, চাকার সরানো বেসরকারি অনুমতি ছাড়া করা হয়েছিল। তদন্তে দুজনের সম্পৃক্ততা ধরা পড়েছে এবং অন্য কেউ জড়িত কিনা তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী শীঘ্রই জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।