ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য ৫০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু না হলেও সামাজিকমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টারসহ পোস্ট দেন, যা বেশ সাড়া ফেলেছে।
পোস্টারে দেখা যায়, প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে তিনি যেন কোনো গ্যাংস্টার সিনেমার চরিত্র। চোখে সানগ্লাস, হাতে লাইটার এবং ঠোঁটে সিগারেট।
ফেসবুক পোস্টে আশিকুর লিখেছেন, “আমি ঘোষণা করছি—আমার ফ্যাকাল্টিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বস্তাপচা লেকচার শুনতে হবে কেন? ক্লাস না করে ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব। অ্যাটেনডেন্স ৭০-৭৫ শতাংশ হলেও ফুল মার্ক পাওয়া উচিত, আর ৫০ শতাংশ থাকলেও পরীক্ষায় বসা সম্ভব। আমাদের ওপর কেউ পদক্ষেপ করে সুবিধা নিতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের স্বার্থই প্রাধান্য।”
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো তিনি শনাক্ত করবেন এবং সেই অনুযায়ী প্রশাসনের সঙ্গে চাপ সৃষ্টি ও আলোচনা করবেন। “সমস্যা খুঁজে বের করা এবং আন্দোলন করা হবে শিক্ষার্থীর; আমি দায়িত্বশীল প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করব।”
আশিকুর জানিয়েছেন, মেয়েদের নিরাপত্তা ও চলাচল, আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন হল নির্মাণ বা বিদ্যমান কোনো ভবন হোস্টেল রূপান্তর করা হবে। ক্যাম্পাসে মিটিং, মিছিলের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং রাজু ভাস্কর্য এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি ইনক্লুসিভ কালচারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “কোরআন তেলাওয়াত, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা, কনসার্ট, এনিমে কসপ্লে, ড্রোন মেকিং ইভেন্টসহ নানা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার সুযোগ থাকবে না।”
ভোটারদের উদ্দেশে আশিকুর বলেন, তার আর্থিক স্বার্থ নেই, আর সততা বজায় রেখেছেন। তার নামে কোনো কেলেঙ্কারি নেই এবং তিনি স্ট্র্যাটেজিক দক্ষতা ব্যবহার করে নেতার বদলে রাজনৈতিক আমলার মতো কাজ করতে চান।
একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেছেন, অন্যায়-অনিয়ম সহ্য করবেন না এবং কাউকে কমিশনবাজি করলে এক্সপোজ করবেন।
শেষে আশিকুর বলেন, “আমার পোস্টার ও প্রচারণা সম্পূর্ণ ‘জেন-জি’ স্টাইলেই হবে। যদি পিছপা হতাম, নিজেকে রেসপেক্ট করতে পারতাম না।”