বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) ঘিরে ফের জোরালো আলোচনার জন্ম দিয়েছে গত আসরের ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তার ভাষায়, বিপিএল এখন অনেকটাই “দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া” অবস্থায় রয়েছে।
পাইলট বলেন, “বিপিএল যে মানে গিয়েছিল, সেটি এখন একেবারেই ব্যাকফুটে চলে গেছে। নেতিবাচক খবরই বেশি শোনা যায়, ইতিবাচক খবর খুব কম। অথচ বিপিএল একসময় দেশের অন্যতম সেরা টুর্নামেন্ট ছিল। সাত-আট বছর আগে বড় ব্র্যান্ডিং ছিল, নামী কোম্পানিগুলো দল নিতে আগ্রহ দেখাত, টিভি রাইটস আর স্পন্সর নিয়েও প্রতিযোগিতা হতো। কিন্তু সেই অবস্থা আর নেই। গত আসরেই দেখা গেছে, কয়েকটি দল বিপিএলের মান নষ্ট করেছে।”
তার মতে, মাঠ সংখ্যা বাড়ানো, হোম-অ্যাওয়ে ম্যাচ চালু করা এবং নতুন স্পন্সর ও দলীয় মালিক খুঁজে বের করার মতো পদক্ষেপ নিলে এক-দুই বছরের মধ্যে বিপিএলকে আবারও ভালো অবস্থানে নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, “বিসিবিকে শক্ত হাতে এসব বাস্তবায়ন করতে হবে। বিপিএলের সম্ভাবনা অনেক বড়। সঠিক মার্কেটিং, খেলোয়াড় গড়ে তোলা ও প্রচারণার মাধ্যমে এটিকে আরও উন্নত করা যায়। এখন যেমন তিনটি ভেন্যুতে খেলা হয়, সেটিকে পাঁচ-ছয়ে বাড়ানো দরকার। শূন্য থেকে শুরু করলেও সমস্যা নেই। তবে ভালো স্পন্সর ও মালিকানা যুক্ত করলে বিপিএল নতুনভাবে দাঁড়াবে।”
পাইলট মনে করেন, দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে টুর্নামেন্টের মান উন্নত করা সম্ভব। তিনি বলেন, “প্রত্যেক অংশীদারকে এগিয়ে আসতে হবে— দলের মালিকানা, স্পন্সর, আম্পায়ারিং, ভালো উইকেট, ম্যাচ যেন পাতানো না হয়— সবকিছু নজরদারিতে আনতে হবে। ড্রেসিংরুম থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গায় যদি মনিটরিং করা যায়, তবে সমস্যা কমে আসবে এবং মান বাড়বে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “প্রত্যেক বছরই আমরা আশা করি বিপিএল স্মার্ট ক্রিকেট উপহার দেবে। কিন্তু গত বছর হতাশাজনক ছিল। আশা করি এবার বোর্ড নতুনভাবে পরিকল্পনা করছে। যদি স্মার্ট ক্রিকেট হয়, তবে সবাই উপকৃত হবে।”