গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের মোট ১৮ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে মুকসুদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা দল ছাড়ার ঘোষণা দেন। এর মধ্যে রয়েছেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. নিয়ামত খান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জামাল হোসেন মুন্সী, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পরিমল সাহা, সাধারণ সম্পাদক শান্ত সাহা এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে নিয়ামত খান জানান, ২২ আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের আর কোনো সম্পর্ক নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। তবে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থে তারা সবসময় কাজ করে যাবেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আটজন নেতা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দল থেকে সরে দাঁড়ান। ওইদিনই টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান শিকদার ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গোপালগঞ্জ জুড়ে একের পর এক পদত্যাগের ধারা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে ১৩ আগস্ট টুঙ্গিপাড়ার কুশলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নওশের ফকির ও কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্বাস আলী পদত্যাগ করেন। ২৬ জুলাই চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম ভূইয়া ব্যতিক্রমীভাবে দুধ দিয়ে গোসল করে সংগঠন ছাড়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া ১৫ জুন মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামাল দল ত্যাগ করেন।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন বলেন, কেবল সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ ঘোষণা দিলে সেটিকে বৈধ পদত্যাগ বলা যায় না। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সঠিক প্রক্রিয়ায় পদত্যাগ করতে হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএনপিতে যোগদানের লক্ষ্যেই অনেকে দল ছাড়ছেন।
তবে মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল দাবি করেন, এলাকায় কাউকে অযথা গ্রেফতার বা হয়রানি করা হচ্ছে না। বরং একটি প্রতারক চক্র পুলিশের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করছে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।