ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রসঙ্গে অতীত স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শহর অ্যাবোটাবাদে পাওয়া গিয়েছিল।
শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরাম অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি ঠিক নয়। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত মূলত নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ মিলিতভাবে নিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে তিনি বলেন, এ দুই দেশের ইতিহাস রয়েছে, এবং সেই ইতিহাসকে উপেক্ষা করারও ইতিহাস আছে। জয়শঙ্কর আরও বলেন, সুবিধাবাদী কূটনীতিতে অনেক সময় দেশগুলো একই কাজ পুনরায় করে, যা কখনও কৌশলগত, কখনও অন্য কোনো হিসাবের কারণে হয়।
যদিও সম্পর্কের এই পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করছেন, জয়শঙ্কর ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের দৃঢ়তা ও প্রাসঙ্গিকতাকে মাথায় রেখেই প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমি সবসময় পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিই, তবে সবসময় বৃহত্তর কাঠামোগত শক্তি এবং আত্মবিশ্বাসকে গুরুত্ব দেই। তাই আমার সিদ্ধান্তগুলো সুসংগত এবং প্রাসঙ্গিক।’’
অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গেও জয়শঙ্কর বলেন, সংঘাতের সময় প্রতিটি দেশ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল, এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের ফোন কলও তৎকালীন পরিস্থিতিতে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আজকের আন্তঃনির্ভরশীল বিশ্বে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকা দেশগুলোই কার্যকরভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। তবে মধ্যস্থতার দাবিকে অতিমাত্রায় প্রকৃত ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখার বিষয় নয়।