গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম সেলিম (৫৮) সম্প্রতি আবারও সমস্যা সামলাতে হলেন। তিনি আগে সাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
গত ১৪ মার্চ কাশিয়ানী উপজেলা শ্রমিক দলের সংক্ষিপ্ত আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া হয় মাহবুব আলম সেলিমকে এবং সদস্য সচিব করা হয় মো. জাহিদ খানকে। কিন্তু শনিবার রাতে কাশিয়ানী থানা পুলিশ মাহবুব আলম সেলিমকে এনসিপির সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করে।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি বাধাগ্রস্থ করতে কাশিয়ানী উপজেলার মাজড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর গাছ কেটে সড়কে ফেলা হয় এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে যানবাহনের চলাচল বাধাগ্রস্ত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পালিয়ে যান। পরদিন কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলীমুল হুদা জনি একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ৩শ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গোপালগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. আব্দুল্লাহ জানান, মাহবুব আলম সেলিমকে আহ্বায়ক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সেলিমসহ কয়েকজন কমিটির সদস্য আওয়ামী লীগে পদাধিকারী হওয়ায় ১৫ দিনের মধ্যে ওই আহ্বায়ক কমিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। দলের নিয়ম অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের উচ্চপদে থাকা কোনো ব্যক্তিকে অন্য দলের কমিটিতে নেওয়া যায় না।
শেষ পর্যন্ত জানা যায়, মো. মাহবুব আলম সেলিমের আওয়ামী লীগের বড় পদে থাকার তথ্য জানার পর কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।