রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ও বাণিজ্য শুল্ক ইস্যুতে টানাপোড়েনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ডাক পরিষেবা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ডাকযোগে কোনো পরিষেবা চালু থাকবে না। তবে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, এ সিদ্ধান্ত অস্থায়ী এবং আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান হবে।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ছিল ১৫ শতাংশ এবং ৮০০ ডলার পর্যন্ত পণ্যে শুল্ক ছাড় মিলত। ডাকযোগে পাঠানো পণ্যের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ছাড় ছিল।
কিন্তু চলতি বছরের মার্চে ট্রাম্প শুল্ক বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করেন। যদিও তখন ডাকযোগে পাঠানো পণ্যের সুবিধা বহাল ছিল। পরবর্তীতে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি ও পাকিস্তান ইস্যুতে ট্রাম্পের ভূমিকা স্বীকার না করায় দুই দেশের সম্পর্ক উত্তেজনায় পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ আগস্ট থেকে আরও ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে মোট শুল্ক বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ শতাংশে। একই সঙ্গে ডাক পরিষেবার সুবিধাও ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে কেবল সেসব ভারতীয় ডাক-বিমান পরিষেবা প্রতিষ্ঠান প্রবেশ করতে পারবে যাদের নাম যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নথিতে তালিকাভুক্ত। এর ফলে ভারতের বেশ কয়েকটি ডাকবাহী বিমান সংস্থা সমস্যায় পড়ে এবং তারা জানায়, জটিলতা নিরসন না হলে তাদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে না।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, “গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে ভারত কাজ করে যাচ্ছে এবং আমরা আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”