আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. আবু সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একাডেমিক অর্জন নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই নেতা বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে, তবে একাডেমিক উৎকর্ষের ক্ষেত্রে এখনও সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি।
সোমবার কার্জন হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জ্ঞান উৎপাদন, জ্ঞান বিতরণ এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টি। কিন্তু বাস্তবে সেটি আশানুরূপভাবে ঘটছে না।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ থেকে পরবর্তীতে স্বাধীন হওয়া অনেক দেশ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিক্ষার মানোন্নয়নে অনেক এগিয়ে গেছে। অথচ দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও একাডেমিক উন্নয়নে যথেষ্ট বিনিয়োগ করা হয়নি।
তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, পার্শ্ববর্তী ও উন্নত দেশগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের ২০–২৮% গবেষণায় বরাদ্দ রাখে, অথচ ঢাবি এ বছর মাত্র ২% বরাদ্দ দিয়েছে। এই বিশাল ঘাটতি একাডেমিক অবদানের সক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম আশাবাদ ব্যক্ত করেন, নির্বাচিত হলে তার প্যানেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকারের একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করবে। একই সঙ্গে তিনি নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বীরা ক্রমাগত সাইবারবুলিং ও মিথ্যা প্রচারণায় লিপ্ত।
চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ, যা সাদিকের প্রার্থী হওয়াকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করেছে।
তিনি নেতিবাচক কৌশল এড়িয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ইতিবাচক প্রচারণার আহ্বান জানান। তার প্যানেলের মূল লক্ষ্য একাডেমিক সংস্কার, গবেষণায় বাজেট বৃদ্ধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলা।