জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, কোনো নারী রাজনৈতিকভাবে যে অবস্থানেই থাকুন না কেন, তাকে অপমান করার অধিকার কারও নেই।
সোমবার (২৫ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি লিখেছেন, নারীর রাজনৈতিক পরিচয় বিএনপি, এনসিপি, বাম, ডান বা দলহীন—যাই হোক না কেন, তার শরীর, ব্যক্তিগত সম্পর্ক, পোশাক কিংবা ব্যক্তিজীবনকে কেন্দ্র করে স্লাটশেমিং করা একেবারেই অনুচিত। এটি রাজনীতি নয়, বরং পুরুষতান্ত্রিক ঘৃণার জঘন্য বহিঃপ্রকাশ।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, অনেক সময় এ ধরনের ঘৃণাচর্চা আসে সেইসব ব্যক্তির কাছ থেকে, যারা নিজেদের প্রগতিশীল হিসেবে দাবি করে। একদিকে তারা নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলে, অন্যদিকে কোনো নারী তাদের মতের বিরোধিতা করলে তার চরিত্র আক্রমণ করে। রুমিন ফারহানা, তাসনিম জারা, সামান্থা, উমামা, তাজনুভা কিংবা মানসুরা—কেউই এই নোংরা প্রথার বাইরে নন।
তিনি বলেন, কোনো নারী নিজের দল বা মতের পক্ষে থাকলে এ ধরনের কটূক্তিকে উপেক্ষা করা, আর বিপক্ষে থাকলে উৎসাহ দেওয়া—এই দ্বিমুখী আচরণ রাজনীতিকে কুরুচিপূর্ণ করে এবং নারীবিদ্বেষকে স্বাভাবিক করে তোলে।
হাসনাত আব্দুল্লাহর ভাষ্য, নারীর প্রতি এই ঘৃণাচর্চার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কোনো সাধারণ প্রতিক্রিয়া নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক সংগ্রাম। দল, মত, পরিচয় যাই থাকুক না কেন, এই সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি নিজেও শ্রেণিভিত্তিক বিদ্বেষের শিকার হয়েছি। তবু রুমিন ফারহানাসহ সব নারীর প্রতি স্লাটশেমিংয়ের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান স্পষ্ট।”