ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেতা ও প্রযোজক অনন্ত জলিলকে দর্শকরা চিত্রনায়ক হিসেবে জানলেও তিনি মূলত একজন ব্যবসায়ী। গার্মেন্টস ব্যবসা থেকে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন তিনি এবং নিজের প্রযোজনার মাধ্যমেই নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই পরিচয় হয় আফিয়া নুসরাত বর্ষার সঙ্গে। দুজন জুটি হয়ে গত প্রায় দেড় দশকে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন অন্তত ১০টি সিনেমায়। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’ ছবির মাধ্যমে প্রথমবার পর্দায় একসঙ্গে আসেন তারা। এরপর *‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, ‘দ্য স্পিড’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম ২’, ‘দিন দ্য ডে’, ‘কিল হিম’*সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেন। যদিও বাণিজ্যিকভাবে সিনেমাগুলো খুব একটা সফল হয়নি, তবুও আলোচনায় ছিলেন তারা।
ব্যক্তিজীবনে ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর অনন্ত জলিল ও বর্ষা দাম্পত্য জীবনে আবদ্ধ হন। সম্প্রতি বর্ষা ঘোষণা দিয়েছেন, হাতে থাকা কাজ শেষ করে তিনি আর সিনেমায় অভিনয় করবেন না। এর পর এবার একই পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিলেন অনন্ত জলিলও।
তিনি বলেন, তাদের দুই ছেলে বর্তমানে ঢাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে, যেখানে ইংরেজির পাশাপাশি আরবি বিষয়ও পড়ানো হয়। দুপুরে স্কুল শেষে তারা টিউটরের কাছে পড়ে, পরে মাদরাসায় যায় এবং সন্ধ্যায় বাসায় ফেরে। তিনি মনে করেন, সন্তানরা যখন জেনারেল ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে পড়াশোনা করছে, তখন তাদের বাবা-মায়ের সিনেমায় যুক্ত থাকা বিষয়টি তাদের কাছে ভালোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না।
অনন্ত জলিলের ভাষায়, “আমার ছেলেরা বড় হচ্ছে। তারা ইসলামের পথে পড়ালেখা করছে। আমি চাই না, তারা পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকবে আর আমরা সিনেমা করে বেড়াব—এটা ওদের কাছে ভালো লাগবে না।”
বর্তমানে অনন্ত জলিল ও বর্ষার হাতে ‘দ্য স্পাই’ এবং ‘নেত্রী: দ্য লিডার’ নামের দুটি সিনেমার কাজ চলমান রয়েছে। তিনি জানান, হাতে থাকা দুই-তিনটি প্রজেক্টের অসমাপ্ত কাজ শেষ করেই হয়তো বিদায় নেবেন। ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তার ভাষায়, “করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্যবসার দিকে এখন বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। না হলে এত বড় কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে পড়বে।”